আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রী যাতে চাকরি না করতে পারে সেই লক্ষ্যে ধরালো অস্ত্র দিয়ে হাত কেটে ফেলেছে স্ত্রী রেণুর।
রবিবার গভীর রাতে কেতুগ্রামের কোজলশায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের দাবি , কাটারি দিয়ে কাটা হয়েছে রেণু খাতুনের ডানহাত। পুলিশি তদন্তে কাঁচির কথা সামনে আসে। যদিও এই কাঁচি পুলিশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি।
অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে যুবতী রেণুর নার্সের চাকরি পাওয়া মেনে নিতে পারেনি স্বামী। স্ত্রী যাতে চাকরিতে যোগ দিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে রবিবার গভীর রাতে স্ত্রীর হাত কেটে নেয় স্বামী।
তবে গ্রামবাসীরা জানান, রেণু খাতুন ও তাঁর স্বামীর মধ্যে কোনও বিবাদ আছে তাদের বলে জানা ছিল না। কোনওরকম সন্দেহজনক আচরণও দেখেননি তারা। শুধুমাত্র স্ত্রীকে চাকরি করতে বাধা দেওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীরা জানান।
রেণু খাতুনের বাবাও জানান, তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের সম্পর্কে কোনও অস্বাভাবিকতা তাঁদের নজরে আসেনি। ওই রাতেও মেয়েকে বাড়ি নিয়ে গেছে জামাই। তারপর পরিকল্পনামাফিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেন রেণুর বাবা আজিজুল হক।
মঙ্গলবার ভোরবেলা কেতুগ্রাম ছেড়ে বাসে করে পালানোর সময় বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার হয় রেণু খাতুনের শ্বশুর ও শাশুড়ি। তবে মূল অভিযুক্ত রেণু খাতুনের স্বামী সরিফুল সেখ ও তার বন্ধুরা এখনও পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে চালাচ্ছে পুলিশ।
২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে কেতুগ্রাম থানা এলাকার চিনিসপুরের বাসিন্দা রেনু খাতুনের সঙ্গে কেতুগ্রামের সরিফুল সেখের বিয়ে হয়। সরিফুল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। প্রথম কিছুদিন চাকরির পরে বাবার মুদির দোকানে বসত। বিয়ের পর বেসরকারি নার্সিংহোমে নার্সের কাজ করতো রেণু। পরে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ট্রেনিং নিয়ে সরকারি হাসপাতালে চাকরি পায়। অভিযোগ, সরকারি চাকরি পেয়ে স্বামীকে ছেড়ে রেণু চলে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় দু-বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রী ডান হাত কেটে ফেলে সরিফুল সেখ।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কাটোয়া মহুকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রেনু খাতুনকে। পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটা বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি আছে রেণু খাতুন।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.